মাজহারুল মিচেল: [২] তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোববার দুপুরে আলোচনা করে এ তথ্য জানা যায়।

[৩] তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকেই নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়েছে। 

[৪] ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান জানান, যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো নাম এসেছে, সেগুলো তারা হলো- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড, সেতু বিভাগ, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জাতীয় ডেটা সেন্টার (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়), সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন)।

[৫] আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

[৬] টেলিযোগাযোগ সংস্থার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড।

[৭] বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে রয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

[৮] এছাড়াও রয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড।

[৯] বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার জানান, গত জুন মাসের শুরুর দিকেও আমরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে হুঁশিয়ার করেছিলাম। আর এ হুঁশিয়ারি আমরা ২০১৮ সাল থেকেই দিয়ে আসছি।

[১০] বাংলাদেশ সরকারের ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান জানান, সাধারণত এগুলি সফট্ওয়্যার বাগ থেকে তথ্যগুলো ফাঁস হয়।

[১১] তিনি বলেন, আমরা আগেই এই বিষয়টি শনাক্ত করেছিলাম। এই প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিতে তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল।

[১২] বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বলেন, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা থাকাটা খুবই জরুরি। তাদের অভ্যন্তরীণ ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য বিশেষায়িত টিম থাকতে হবে।

[১৩] প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পাঁচ কোটিরও বেশি নাগরিকের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকলেই পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, গুগলে সার্চ করলেই যে কেউ ওয়েবসাইটটিতে ঢুকে পাঁচ কোটি নাগরিকের নাম, জন্ম তারিখ ও এনআইডি নম্বর দেখতে পারছেন। গত ২৭ জুন এটি দেখতে পান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস। 

[১৪] বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কম্পিউটার নিরাপত্তা সমাধান সংস্থা। তার বরাতে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে মার্কিন অনলাইন পোর্টাল টেকক্রাঞ্চ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব